।। অষ্টিওপোরোসিস এবং অস্থির স্বাস্থ্য ।।
~~ অরূপ আচার্য্য ~~
ভূমিকাঃ-
অষ্টিওপোরোসিস মানে
“অতি ক্ষুদ্র ছিদ্রযুক্ত হাড়”। যেটা হল একপ্রকার অবস্থা। যেক্ষেত্রে হাড়গুলো অতিক্ষুদ্র রন্ধ্র-যুক্ত, দুর্বল এবং এতই
ভঙ্গুরে পরিণত হয় যে ঝোঁকা, একটা ভ্যাকুম ক্লিনার ওঠানো বা কাশির মতো মৃদু ধকলের
কারণেও একটা হাড়ভাঙ্গা ঘটতে পারে।
অষ্টিওপোরোসিসের সাধারণ ফলাফল হলো “হাড়ভাঙ্গা”, যার
বেশীরভাগ ঘটে শিরদাঁড়া, নিতম্ব বা কব্জিতে।
Ø অষ্টিওপোরোসিস দ্বারা
প্রভাবিতের ৪০% হলো মহিলা।
Ø ৫০ -এর বেশি বয়সী ৩ জন মহিলার ক্ষেত্রে ১ জনের আর ৮ জন পুরুষের মধ্যে ১ জনের যাদের সারাজীবনে একবার
অষ্টিওপোরোসিস সংক্রান্ত হাড়ভাঙ্গার ঘটনা ঘটবে।
Ø অষ্টিওপোরোসিস যেকোনো
বয়সে আঘাত হানতে পারে।
অষ্টিওপোরোসিস কি?
অষ্টিওপোরোসিস হচ্ছে হাড়ের একটা সাধারণ রোগ , যা হাড়ের
ভর(বা ওজন) ও শক্তি কমানোর দ্বারা চিহ্নিত হয়। হাড়ের ভরের ক্ষয় বানায় হাড়কে
অতিরিক্ত রন্ধ্র-যুক্ত ,ভঙ্গুর, আর তাই হাড়ভাঙ্গার ঘটনা অধিকমাত্রায় ঘটে(বিশেষতঃ
শিরদাঁড়া, নিতম্ব এবং কব্জিতে)।
প্রভাবিত অনেক লোকের মধ্যে হাড়ের ক্ষয় ধীরে ধীরে হয় এবং কোন
লক্ষণ ছাড়াই, রোগ না বাড়া পর্যন্ত। অষ্টিওপোরোসিস “নীরব ঘাতক” হিসেবেও
পরিচিত, কেননা এটা অত্যন্ত বিলম্বিত না হওয়া পর্যন্ত একজন ব্যক্তি সাধারণত জানতে
পারেনা যে তাদের এটা হয়েছে।
অষ্টিওপোরোসিসে কি ঘটে?
৩০-৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত হাড়ের ক্ষয়ের থেকে গড়ার হার বেশী হয়।
তাই এটা হল হাড়ের চূড়ান্ত ভরে পৌঁছানোর সময়কাল। হাড়ের চূড়ান্ত ভর তাই কিছু কালের
জন্যে স্থায়ী অবস্থায় পৌঁছায় এবং তারপরে, হাড় গড়াকে ছাপিয়ে যায় হাড়ের ক্ষয়
(সাধারণত ৩৫-৪০ বছর পরে)। যা ধীরে ধীরে হাড়ের ভর কমানোর দিকে অগ্রসর হয়।
অষ্টিওপোরোসিস থাকা অবস্থায় তুচ্ছ দুর্ঘটনার ফলে নিতম্বের
হাড়ভাঙ্গা ঘটতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, নিতম্বের উপর ভর দিয়ে একজন মহিলা পড়ে গেলে,
পড়ার ফল হিসেবে হাড়ভাঙ্গা ঘটতে পারে।
লক্ষণ ও উপসর্গঃ-
কয়েক দশক ধরে নীরবে অষ্টিওপোরোসিস অবস্থা বয়ে চলেতে পারে।
কেননা হাড় না ভাঙ্গা পর্যন্ত অষ্টিওপোরোসিস উপসর্গের কারন ঘটে না। তাই একবার
অষ্টিওপোরোসিস দ্বারা হাড় দুর্বলতর হলে, যেসব লক্ষণ ও উপসর্গ আপনার আসতে পারে, তার
মধ্যে আছে-
Ø পিঠে ব্যথা
Ø ওজন কমা
Ø ঝুঁকে পড়া ভঙ্গিমা
Ø মেরুদণ্ড, কব্জি, নিতম্ব বা অন্যান্য হাড় ভাঙ্গা।
Ø হাড়ের যন্ত্রণা এবং ব্যথায় কাতরানো
Ø ঘাড়ের যন্ত্রণা, পাঁজরের যন্ত্রণা
Ø দাঁত পড়া
অষ্টিওপোরোসিসের কারনসমূহঃ-
Ø হাড়ের ভর কমে যাওয়া
Ø বংশ-জনিত বিষয়াদি
Ø বয়স
Ø রজোনিবৃত্তি
Ø জীবনযাত্রা
বিপদের বিষয়াদিঃ-
· পারিবারিক ইতিহাসঃ
অষ্টিওপোরোসিস পরিবারের মধ্যে বয়ে চলে আসে। সেই কারনে,
বাবা-মা বা ভাই-বোনের অষ্টিওপোরোসিস থাকলে তা আপনাকে মহা বিপদে ফেলবে, বিশেষতঃ যদি
আপনার পরিবারের হাড়ভাঙ্গার ইতিহাস থাকে।
· শরীরের আকারঃ
পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে যারা ব্যতিক্রমী রোগা বা ছোটো
শরীরের গড়ন, তাঁদের ব্যাপক বিপদের প্রবণতা থাকে। যেহেতু তাঁদের বয়স অনুযায়ী টানার
মতো হাড়ের ভর হয়ত কম আছে।
· তামাকের ব্যবহারঃ
গবেষকদের মত অনুযায়ী তামাকের ব্যবহার হাড় দুর্বলে অংশদান
করে।
· এস্ট্রোজেন ঘাটতিঃ
এস্ট্রোজেনের ঘাটতি (স্ত্রী-যৌন হরমোন) যেহেতু দেখা যায়
রজোনিবৃত্তি এবং স্ত্রী-গ্রন্থিদ্বয়ের
শল্যচিকিৎসা দ্বারা অপসারণের পরে।
· খাওয়ায় অসুবিধাঃ
খাওয়ার বৈকল্য , যেমন অ্যানোরেক্সিয়া এবং বুলিমিয়া।
· ঔষধি চিকিৎসাঃ
নির্দিষ্ট কিছু ঔষধের দ্বারা দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা - যেমন
কোর্টিকোস্টেরয়েড, ডাইউরেটিক্স, রক্ত-পাতলা করার ঔষধি চিকিৎসার কারণে হাড়ের ক্ষয়
হতে পারে।
· স্তনের ক্যানসারঃ
রজোনিবৃত্তি-পরবর্তী মহিলাদের মধ্যে যাঁদের স্তনের ক্যানসার
আছে, তাঁদের অষ্টিওপোরোসিসের বিপদ বাড়ে। বিশেষত যদি তাঁদের কেমোথেরাপি দিয়ে
চিকিৎসা করা হয়।
· কম ক্যালসিয়াম খাওয়াঃ
ক্যালসিয়ামের জীবনভর অভাব অষ্টিওপোরোসিসকে বাড়তে মুখ্য
ভূমিকা পালন করে। কম ক্যালসিয়াম খাওয়া বিশেষতঃ ৩০ বছর বয়সের আগে, হাড়ের দুর্বল
ঘনত্ব, শীঘ্র হাড়ের ক্ষয় এবং হাড় ভাঙার বিপদ বাড়াতে মুখ্য ভূমিকা নেয়।
· কিছু রোগ বা শরীরবৃত্তীয় অবস্থা এবং চিকিৎসা পদ্ধতিঃ
হাইপারথাইরয়েডজম, হাইপোথাইরয়েডজম , পরিশোষণহীনতার
রোগ-লক্ষণ, তৎসহ যকৃতের রোগ, অন্ত্রের প্রদাহজনিত রোগ, দীর্ঘদিনের মূত্রনালির
অকেজতা ও সুদীর্ঘ চলাচলে অক্ষমতা দেহেতে ক্যালসিয়ামের মাত্রা কমাতে অগ্রসর হয়।
· স্থবির জীবনযাত্রাঃ
হাড়ের জোর স্বাস্থ্যের শুরু শৈশবে। শারীরিকভাবে সক্রিয় এবং
পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম যুক্ত খাদ্য খায় এমন শিশুদের হাড়ের ঘনত্ব দারুণ থাকে। শারীরিকভাবে
নিষ্ক্রিয় জীবনযাত্রা যেকোনো ব্যক্তিকে অষ্টিওপোরোসিস প্রবণ করে তোলে।
· মাত্রাতিরিক্ত সোডা খাওয়াঃ
অতিরিক্ত সোডা খেলে খাদ্যবস্তু হতে ক্যালসিয়াম ও
খনিজ-পদার্থ পরিশোষণের মাত্রা কমে যায় এবং শরীর হতে ক্ষয়ের সম্ভাবনা থাকে।
· দীর্ঘদিনের সুরাসক্তঃ
পুরুষদের
দীর্ঘদিনের সুরাসক্ত বা অত্যধিক অ্যালকোহল(মদ) সেবন অষ্টিওপোরোসিসের অন্যতম কারন। অত্যধিক মদ্যপান করলে হাড়ের গড়ন ও শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণের ক্ষমতার
বিঘ্ন ঘটায়।
· বিষণ্ণতাঃ
যেসব লোকজন মারাত্মক বিষণ্ণতায় ভোগে তাঁদের হাড়ের ক্ষয়ের
হার বাড়ে।
· ভিটামিন ডি এর ঘাটতিঃ
ক্যালসিয়াম পরিশোষণের জন্য ভিটামিন ডি অত্যাবশ্যক।
· লিঙ্গঃ
অষ্টিওপোরোসিসের দরুন হাড়ভাঙ্গা পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের
ক্ষেত্রে দ্বিগুণ সাধারণ ব্যাপার। দেরিতে রজঃস্রাব শুরু হওয়া বা শীঘ্র রজঃনিবৃত্তি
ঘটা থেকে অষ্টিওপোরোসিসের বিপদ আসে।
· বয়সঃ
বয়সকালে হাড়ে ক্যালসিয়াম যুক্ত হওয়ার থেকে হাড় থেকে
ক্যালসিয়াম বেরিয়ে যাওয়ার মাত্রা বেড়ে যায়।
দ্রষ্টব্যঃ- ৭৫ বছরের পর থেকে মহিলাদের মতো পুরুষদের অষ্টিওপোরোসিস ততটাই
সাধারণ ব্যাপার।
জটিলতা:-
অত্যন্ত ঘনঘন শিরদাঁড়া বা নিতম্বের হাড় ভেঙে যাওয়া
অষ্টিওপোরোসিসে মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি করে। শিরদাঁড়া ও নিতম্ব শরীরের ভরকে বয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে।
কোন আঘাত বা পড়ে না গেলেও ওইসব হাড় ভেঙে যাওয়ার প্রবণতা থাকে। বিশেষ করে বৃদ্ধদের
নিতম্বের হাড়ভাঙ্গার ফলে পঙ্গু এবং মৃত্যু হতে পারে শল্যচিকিৎসার পরবর্তী জটিলতা
থেকে।
চিহ্নিত বা নির্ণয় করাঃ-
অষ্টিওপোরোসিস চিহ্নিত করার জন্য আপনার ডাক্তারের হয়ত উপদেশ
থাকবে-
Ø আলট্রাসাউন্ড বা ডি-ই-এক্স এর মাধ্যমে হাড়ের ডেনসিটোমিট্রি
করানো। যার থেকে সহায়তা মেলে-
·
অষ্টিওপোরোসিসের
শুরুতেই চিহ্নিত করা।
·
ভবিষ্যতের
হাড়ভাঙ্গার বিপদের পূর্ব-সঙ্কেত দেওয়া।
·
হাড়ের ক্ষয়ের হাড়
নির্ণয় করা।
·
চিকিৎসার সুফল ও
প্রভাব নির্ণয় করা।
Ø এক্স-রে, যা অষ্টিওপোরোসিস চিহ্নিত করতে পারে ৩০–৪০ শতাংশ
হাড়ের ক্ষয় হওয়ার পর।
Ø রক্ত পরীক্ষা,যা ক্যালসিয়াম এবং ফসফেট এর মাত্রা চিহ্নিত
হয়।
শীঘ্র রোগনির্ণয়য়ের গুরুত্বঃ-
অস্টিওপেনিয়া(হাড়ের কম ভর বা ওজন) বা অষ্টিওপোরোসিস থাকা লোকজন
গুরুত্ব দিয়ে রোগনির্ণয় করালে হাড়ের ওজন নষ্টের প্রবণতা কমানোর পদক্ষেপ নিতে
পারেন। ডাক্তারের পরামর্শের মেনে চললে অষ্টিওপোরোটিক হাড়ভাঙ্গা প্রতিরোধ করতে
পারবেন।
প্রতিরোধ করাঃ-
নিম্নলিখিত ভাবে সঠিক রোজনামচা শিশুদের
প্রারম্ভিক বয়স এবং বয়ঃসন্ধিকাল থেকে অনুসরণ করা আবশ্যিক।
Ø পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম খাওয়া এবং পুষ্টি-হীন তথা প্রোটিন
অপুষ্টি এড়ানো সুনিশ্চিত করা।
Ø ভিটামিন-ডি এর প্রচুর সরবরাহ রাখা, সূর্যালোক বা বাইরের
থেকে খাওয়ার মাধ্যমে।
Ø শরীরের সক্রিয়তা বাড়ানো, নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে।
Ø ধূমপান এড়ানো।
Ø ব্যাপক মদ্যপানের বিপদ সম্বন্ধে বয়ঃসন্ধিদের শিক্ষিত করা।
প্রতিরোধের জন্য অন্যান্য সুলুকসন্ধানঃ-
Ø আপনার খাদ্যতালিকায় সয়াবিন যুক্ত করুন। সয়াবিনে উদ্ভিদ
এস্ট্রোজেন্টস থাকে। তাই মহিলাদের রজোনিবৃত্তির পরে প্রথম ১০ বছর খুবই প্রয়োজনীয়।
Ø সীমিত ক্যাফেইন। দিনে ২-৩ কাপ কফি পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম
যুক্ত খাওয়ার সহযোগে।
অষ্টিওপোরোসিস সামলানোঃ-
একবার অষ্টিওপোরোসিস বিকশিত হলে, চিকিৎসার মূল উদ্দেশ্য হবে
হাড়ের আরও ক্ষয় প্রতিরোধ করা এবং হাড়ভাঙ্গা এড়ানোর উদ্দেশ্যে হাড়ের মজবুতি বজায়
রাখা।
চিকিৎসাঃ-
অষ্টিওপোরোসিসের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত ঔষধগুলো এক ব্যক্তির
সঙ্গে অন্য ব্যক্তির আলাদা হতে পারে।
চিকিৎসার জন্য নিম্নলিখিত ঔষধগুলি ব্যবহার করা হয়-
Ø ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি’৩, ক্যালসিট্রাইয়ল এবং ভিটামিন কে’২
সম্পূরক।
Ø বিসফসফোনেট
Ø ক্যালসিটোনিন
স্বকীয় পরিচর্যা হল সেরা পরিচর্যাঃ-
Ø শারীরিক ভঙ্গিমা ভালোটাই বজায় রাখা
·
উত্তম শারীরিক ভঙ্গিমার সঙ্গে মাথা উঁচু, কাঁধ পিছনে,উপরের পিঠ সমান,তলার
মেরুদণ্ড আকৃতি অনুযায়ী বাঁকা রাখা আপনাকে মেরুদণ্ডের উপর পড়া ধকল এড়াতে সাহায্য
করবে।
·
পড়া বা হাতের কাজ করার সময় ঝুঁকবেন না।
·
কিছু ওঠানোর সময় হাঁটু ভাঁজ করবেন, কোমর নয় এবং ওঠার সময় উপরের পিঠ সোজা
রেখে পায়ের উপর ভর করুন ।
Ø পড়ে যাওয়া প্রতিরোধ করা
·
পিচ্ছল হীন
সোল-যুক্ত নিচু হিলের জুত ব্যাবহার করুন। হোঁচট খেয়ে পড়ে যাওয়ার সম্বাভনা আছে এমন
অসমান,পিচ্ছল জায়গা সঙ্গে বাড়ির বৈদ্যুতিক
তারগুলো নিয়মিত পরীক্ষা করবেন।
·
ঘরগুলোতে উজ্জ্বল
আলোর ব্যবস্থা রাখবেন। আপনার স্নানঘরে দরজার ঠিক বাইরে ও ভেতরে শক্তপোক্ত হাতল
বসানোর ব্যবস্থা করবেন। বিছানা হতে সহজে ওঠা-নামা সুনিশ্চিত করুন।
Ø ব্যথা-যন্ত্রণা সামলানো
·
আপনার চিকিৎসকের
সঙ্গে পরামর্শ করুন ব্যথা-যন্ত্রণা সামলানোর কৌশল জানতে। পুরনো ব্যথা-যন্ত্রণা কে
অবহেলা করবেন না, কারণ এটা আপনার স্বাভাবিক চলাফেরায় বাঁধা সৃষ্টি করতে পারে এবং
আরও বেশী যন্ত্রণার কারণ হতে পারে।
সুস্থ-সবল হাড়ের জন্য তিনটি মন্ত্রঃ-
জীবনভর আপনার হাড়গুলোকে সুস্থ সবল রাখার জন্য তিনটি
অত্যাবশ্যক বিষয় হল-
Ø নিয়মিত ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর সুষম খাদ্য।
Ø পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন-ডি।
Ø মদ্যপান এবং তামাক সেবনের মতো বিপদ এড়ানো,পড়ে যাওয়া
প্রতিরোধ করা এবং হাড়ের পক্ষে ক্ষতিকারক ঔষধ না খাওয়া।
অষ্টিওপোরোসিস নিয়ে জীবনযাপনঃ-
অষ্টিওপোরোসিস থাকা প্রায় সব ব্যক্তি দেখেছেন এটা কেমন তাঁদের
জীবনের উপর প্রভাব ফেলেছে। এর কু-প্রভাব প্রতিদিনের কাজ, চাকরিক্ষেত্র, আর্থিক উৎস,
পারিবারিক তথা বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে সম্পর্কের উপর পড়ে।
অষ্টিওপোরোসিস নিয়ে বেঁচে থাকা সহজ নয়। কিন্তু এর বর্তমান
সমস্যা অতিক্রম করে ও লড়াই করে আপনি অনেকটা পরিবর্তন ঘটাতে পারেন। আপনার ডাক্তার
ঔষধ,বিশেষ ব্যায়াম, হাড় সুরক্ষার কৌশল তথা সরঞ্জাম ও অন্যান্য পরামর্শ দিতে পারেন।
কিন্তু ইতিবাচক মনোভাব রাখাটাও গুরুত্বপূর্ণ। একটা ইতিবাচক মনোভাব আপনার সমস্যা
সমাধানে উত্তম দিশা দেখাবে।
Asakori ei information gulo amader pathok der sahajjo korbe..
ReplyDelete