~: একটু আলোড়ন এর জন্য :~
প্রসূন ঘোষ
“রাম দা আপনি কিছু
দেখেন নি” রাম দার চায়ের দোকানে বসে শশীবাবু জিগ্যেস করল। “না রে ভাই, ওই মেল এক্সপ্রেস ট্রেন গুলোর সময় এতো ভীড় হয় এই চত্ত্বরে যে কিছু ঠাওর করা ওঠে না” গ্লাসে চা ঢালতে ঢালতে রামদা বলল। মফস্বল শহরের রেল স্টেশনের ঠিক বাইরে রামদার চায়ের দোকান। দীপক ডাক্তার আর প্রবীন বাবুর স্ত্রী উধাও কাল রাত থেকে। আজ এই মফস্বল শহরে বেশ কোলাহল। কুয়াশায়
ঘেরা এই শীতের সকাল টাকেও কেমন উষ্ণ করে তুলেছে। শশীচরন এর চনমনে ভাবটা যেন এই শহরের জলছবি।
দীপক এই
শহরেরই ছেলে। প্রবীন তাকে এক সময় পড়াত। পাশ করার
পর এখানের হাসপাতালে পোস্টিং পায় দীপক, মাস ছয়েক আগে। একটা ছোট
চেম্বার ও খুলেছে। বেশ হাতযশ আছে তার। স্বল্প
সময়ে বেশ নামডাক হয়ে উঠেছে। রীতাও এই
শহরের মেয়ে। প্রবীনকে ভালবেসেই বিয়ে করেছিল। প্রবীন তখন
নতুন এসেছিল এখানকার কলেজে। বেশ
রোম্যান্টিক প্রফেসর ছিল। ছাত্রীদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু সে
যে রীতাকে পছন্দ করে সেটা অনেকের অজানা ছিল। রীতা ওর
বাসার পাসেই থাকতো। শিক্ষিতা, সুন্দরী
এবং সুগায়িকাও ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের
পাট চুকিয়ে সে তখন নিজের গ্রুপ থিয়েটার নিয়ে ব্যাস্ত। জনগনের মধ্যে স্ত্রী-শিক্ষা এবং নারী সচেতনতা জাগিয়ে তোলার একটা অবুঝ ইচ্ছে
তাকে তাড়িয়ে বেড়াত। বেশ ডানপিটে মহিলা হিসাবে খ্যাতিও ছিল তার। তবু তার সঙ্গে প্রবীনের বিবাহ হলে এই শশী বাবুরাই “রাজযোটক” মন্তব্য করেছিলেন
রামদার চায়ের দোকানে।
দীপকঃ
এই ঠাণ্ডায় দার্জিলিং আসার কোন ইচ্ছে আমার ছিল না। রীতাদি জোর করলো তাই। প্রবীনদা
কে আমি সেই উচ্চমাধ্যমিক এর সময় থেকে চিনি। আমাদের
বায়োলজি পড়াতেন। প্রবীনদা আমাদের কাছে বদ্ধ ঘরের খোলা জানালার মত ছিলেন। বড় শহরের শিক্ষিত ছেলে। কিন্তু অহং
বলে কিছু ছিল না। বন্ধুর মত মিশতেন আমাদের সঙ্গে আমার ডাক্তারি পড়ার নেশা ওই জাগিয়ে তুলেছিল। ছোটবেলায় বাবা-মা কে হারিয়ে, মামার বাড়ীতে মানুষ। পড়াশোনাতে
ভাল ছিলাম কিন্তু কোন নির্দিষ্ট লক্ষ্য ছিল না। প্রবীনদা সেটা জাগিয়ে তোলে। সুমন, নচীকেতার গান থেকে শুরু করে বাংলা ব্যান্ড ওর কাছেই
প্রথম শোনা আমাদের। একটা
ম্যাগনেটিক পার্সোনালিটি ছিল ওর। ওর সঙ্গ
পাবার নেশায় আমরা মাতাল ছিলাম। আজ আমাদের
বন্ধুরা যে যার নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে, সেটা ওর জন্যই সম্ভব হয়েছে। রীতাদির সঙ্গেও আলাপ ওর কাছেই। আমরা পড়তে
এলে পর মাঝে মাঝে হানা দিত ওখানে। প্রাণোচ্ছল
মহিলা ছিলেন। প্রথম নজরেই আমি মুগ্ধ হই ওর প্রতি। আমার কৈশোরের
প্রথম প্রেম ছিল রীতাদি। তারপর অনেক দিন কেটে গেছে। আমি
ডাক্তারি পড়তে চলে যাই কলকাতা। এমন সময়
ওদের বিয়ের খবর পাই। খুব খুশী হয়েছিলাম আমি। ছুটিতে
বাড়ীতে এলে বেশ হই হই করে ওদের সঙ্গে দিন কেটে যেত। দুজনেই আমাকে খুব ভালবাসত। এর পর পড়া
শেষ। এদিক ওদিক করতে করতে সরকারী চাকরী পেয়ে আবার এসেছি এইখানে। মাঝখানে কিছুদিন আমিও এদের খবর রাখতে পারিনি। প্রবীনদা এখানে বেশ গণ্যমান্য ব্যাক্তি। দিনরাত পড়ুয়াদের মাঝে ঘিরে থাকেন। এখন তাদের
ঠিক আমাদেরই মতন করে উপদেশ দেন। রীতাদি তার
থিয়েটার নিয়ে আছে। আর নতুন বলতে ওদের মেয়ে তিস্তা আর প্রবীনদার মা। দারুন মহিলা। কয়েকদিনের মধ্যেই আমাকে নিজের ছেলের মত করে নিলেন। রীতাদির সঙ্গেও দারুন সম্পর্ক ওনার। স্বামী
মারা যেতে ছেলের কাছে এসে থাকেন। আর তিস্তা
তো দিম্মা অন্ত প্রান। থাকেও সবসময় ওনার কাছে। ক্লাস ওয়ান
এ পড়ে এখন।
সবকিছু ঠিক দেখলেও, কোথায় যেন একটু বেসুরো বাজছিল। প্রথমে আমিও খেয়াল করিনি। কিন্তু
ধীরে ধীরে বুঝলাম স্বামি-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কটা ঠিক স্বাভাবিক না। আমি বিশেষ পাত্তা না দিয়ে আমার রীতাদিকে মুগ্ধ নয়নে দেখতাম। রীতাদির টুকটাক ফায়ফরমাসের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতাম। কিন্তু কি করে জানিনা আমিও একদিন এই কাহিনীর অংশ হয়ে পড়লাম। তিনদিন আগে রীতাদি আমার সঙ্গে দার্জিলিং যাবার জিদ ধরল, কাউকে না বলে। আর আমিও জানিনা কোন আক্কেলে রাজী হয়ে গেলাম। তৎকালে টিকিট কেটে এই ঠাণ্ডায় মরতে আসা এই শহরে।
রীতাঃ
“বৌদি তুমি কি চা খাবে” দরজাটা খুলে দীপক
জিগ্যেস করলো; আগে দিদি বলত, এখন
বৌদি বলে ডাকে। “আমি
একটু বেরব। চা টা রিসেপ্সন এ বলে যেতাম তাহলে। আর আমার ঘরের চাবিটা রাখো যদি কোন প্রয়োজন হয় একটা মোবাইল চার্জ এ দেওয়া আছে। অন্যটা নিয়ে আমি বেরলাম”। জানলার পাশটিতে দাঁড়িয়ে একটা ঘুমন্ত শহর দেখছিলাম। চটক ভাঙলো দীপকের
বকবকানিতে। “বলে
দিও” আস্তে করে কথাটি বলে ওর হাত থেকে চাবিটি নিয়ে নিলাম। দরজা বন্ধ হবার শব্দে বুঝলাম দীপক চলে গেছে। কাল থেকে মরমে মরে যাচ্ছি আমি। ওই নিরীহ
ছেলেটাকে আমি এই দুর্দশায় ফেলতে চাই নি।
আমি যে কেন এখানে আসতে চাইলাম, বা কেন এখানে এসেছি সেটা আমি নিজেও জানিনা। ভাল স্বামী। স্বচ্ছল পরিবার। না ‘শাশ-বহু’ প্রবলেম, না অন্য কিছু। তবু যেন ইদানীং আমার একাকীত্ব বেড়ে উঠেছিল। প্রবীন তার ছাত্রদের নিয়ে ব্যাস্ত আর আমি আমার থিয়েটার নিয়ে। ১০-১২ বছর বিয়ের পর এই দূরত্ব সবার মধ্যেই বেড়ে ওঠে। আমরাও তার ব্যাতিক্রম ছিলাম না। তবু প্রবীন
আমাকে ভালোবাসে আজও। আমি বিশ্বাস করি ওকে। মাঝে মাঝে
আমার মনে হয় ও কেন এতো ভাল। ঝগড়া করে
না আমার সঙ্গে। আমি কখন ঝেঁঝে উঠলে চুপ করে যায়। কথা না
বাড়িয়ে ওখানেই ইতি ঘটিয়ে দেয়। আজকাল
বিছানাতেও আমি না চাইলে কাছে ঘেঁষে না। কেন? কেন? কেন? আমার উপর কি ওর কোন জোর নেই? আমি যে শুধু
বিলিয়ে দিতে চাই ওর কাছে সেটা কেন ও বোঝে না? সেই শেষবার
যখন দার্জিলিং এসেছিলাম, তখন শীতকাল। সদ্য বিয়ে হয়েছে। হোটেল থেকে বাইরে বেরিয়ে ড্রাইভার কে বলত, বরফ দেখব, বরফ দেখাবে চল। তারপর একদিন মদ খেয়ে নেশায় টালমাটাল হয়ে, সে কি কাণ্ড। কিন্তু
তারপর কোনদিন তোমাকে অশালীন হতে দেখিনি। এদিকে দীপক
ফিরে আসার পর আবার তার শুরু হোল আমাদের বাড়ী আনাগোনা। আমার প্রতি একটা দুর্বলতা ওর আছে আমি জানতাম। ওর চোখ স্পষ্ট আমায় ভালোবাসা জানাত। আমরা
মেয়েরা পড়তে পারি। কিন্তু কোনোদিন সে চোখে লালসা দেখিনি। তাই ওকে
নিয়ে খেলার লোভটা সামলাতে পারলাম না। আমার স্থির
জীবন তরঙ্গে, একটু ঢেউ খেলানোর
তাড়নায় ওকে নিয়ে ভেসে পড়লাম। কিন্তু
জানিনা কাল থেকে আমার কি হয়েছে বাড়ী থেকে আসা ইস্তক, কেমন যেন পাপী পাপী লাগছে নিজেকে। মেয়েকে নিয়ে চিন্তা নেই, মা
তাকে ভালই সামলায়। আর সেও দিদিমার খুব ন্যাওটা। আমি যে ওকে
জন্ম দিয়েছি, সেটা ভেবে আজ আমিও
চমকে উঠি। মেয়েটাও আর আমার রইল না। পাড়া
প্রতিবেশী সব কি ভাবে আমাদের পোস্টমর্টেম করছে সেই ভেবে চুপ করে গেছি শীতের
দার্জিলিং এর মত। যে সব স্বপ্ন, আশা নিয়ে
বেরিয়েছিলাম সব কেমন যেন বেমানান লাগছে এখন। ডোরবেল এর শব্দে চমকে উঠলাম। বেয়ারা
বাইরে চা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তাকে ভেতরে
আস্তে বলে গীজারটা ছেড়ে এলাম। বেয়ারা চলে
গেলে পর, দরজা লক করে, চা খেতে লাগলাম। নাঃ আর
ভাবব না। যা হবার হবে। এই ভেবে চান করতে ঢুকে গেলাম।
প্রবীনঃ
“বাবা আমরা এই শীতকালে দার্জিলিং কেন যাচ্ছি। রবি বলছিল শীতকালে নাকি কোন মজা নেই” তিস্তার কথায় চিন্তাজাল খিন্ন হয়। কাল দীপকের ফোন আসার পর থেকে ব্যাস্ততায় দিন কেটেছে। গত তিন দিন ধরে ভেবে ভেবে কুল কিনারা করে উঠতে পারছিনা কেন এমন হোল। পাড়া প্রতিবেশীর তোয়াক্কা আমি করি না। কিন্তু
নিজেকে কেমন অপরাধী মনে হচ্ছে। রীতাকে
কিভাবে সামনা করব সেই চিন্তায় মগ্ন ছিলাম। জীপে যেতে
যেতে মেয়ের প্রশ্নে সম্বিত ফিরে পেলাম। “রবি তো কখনো শীতের দার্জিলিং দেখেনি তাই এই কথা বলেছে মা। শীতের দার্জিলিং এর একটা আলাদা মজা। বরফ দেখা
যায়। সাদা চোখ ধাঁধানো তার রূপ। তুই একবার
দেখলে জীবনে ভুলবি না”। অনেকটা স্বগতক্তির মত বলে ফেললাম কথা গুলো। ঘুম স্টেশন পেরিয়ে এলাম এই মাত্র। এবার আর
একটু এগলেই এসে যাবে দার্জিলিং, স্টেশন
এর সামনেই দীপকের থাকার কথা, না থাকলেও হোটেল এর নামটাও
জানা আছে।
দূর থেকেই দীপকের অপেক্ষারত শরীরটা দেখা গেল। আনমনে সিগারেট টানছিল। ড্রাইভার
কে বললাম ওর পাশে দাঁড়াতে। তিস্তা
চিৎকার করে উঠল দীপককাকু বলে। দীপকও কোলে
তুলে নিল তার ছোট্ট শরীরটা। তার পর
আমার পাশে এসে বসল, আর
ড্রাইভার কে পথ নির্দেশ দিতে লাগলো, আর তিস্তার সঙ্গে
একথা সেকথা আলোচনা করতে লাগলো। ওকে আমার
কিছু জিগ্যেস করতে লজ্জা লাগছিল। তবুও আমতা
আমতা করে বলেই ফেললাম “রীতা ভাল
আছে তো ”? যেন এইটুকু জানার জন্যই আমার প্রান আটকে আছে। “ভাল” খুব নিঃস্পৃহ ভাবে উত্তর দিয়ে দীপক আবার ব্যাস্ত হয়ে পড়ল তিস্তার
প্রশ্নের উত্তর দিতে। হোটেলটার
সামনে জীপটা দাঁড়াতেই ধক করে উঠল আমার বুক। রীতাতো
জানে না আমাদের আসার খবর। যদি ও চেল্লা-মেল্লি করে তাহলে কি করে বোঝাব ওকে আমি। আর তিস্তাকে বলা সব মিথ্যে গুলো সত্যি হয়ে যাবে। নিঃশব্দে দীপককে অনুসরন করতে করতে ঠিক করলাম, যাই হোক আজ এস্পার না হয় ওস্পার কিছু একটা করতেই হবে। “এইটা বৌদির রুম”
একটা দরজার দিকে আঙ্গুল দেখিয়ে দীপক বলল। “আমি তিস্তাকে আমার
ঘরে নিয়ে যাচ্ছি। তোমরা মিয়াঁ-বিবি ফয়সালা করে নাও”। দরজায় টোকা দিয়ে কিছুক্ষন অপেক্ষা করলাম। দরজা খুলতেই ভিতরের নারীকে দেখে আমি শিউরে উঠলাম। এ কি চেহেরা করেছে রীতা? একটা
মানুষ দুদিনে এতটা পালটে যেতে পারে সে আমার ধারনার অতীত। আমাকে দেখে, রীতাও
হতবাক। রক্তশূন্য শরিরটা আমার উপরে এলিয়ে দিয়ে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ল। এই মানসিক যন্ত্রনা বোধ হয় সেও আর সহ্য করতে পারছিল না। পরম আদরে রীতার শরীরটাকে জড়িয়ে আমি কোনমতে বেড এ রেখে দীপককে ডাক দিলাম। সে ডাক্তার মানুষ, একটা
উপায় নিশ্চয় দেবে। দীপক তৎক্ষণাৎ ব্যাবস্থা নিল। আর আমাকে
বলল এখন ডাক্তারের চেয়ে তোমার প্রায়োজন বেশি, তুমি ওর পাশে থাক।
তিন দিন তিন রাত কিভাবে কেটেছে জানিনা, রীতা এখন কিছুটা সুস্থ। আজ তিস্তাও এসেছিল। মায়ের
সঙ্গে বরফ দেখার গল্প করতে। আমি পাশে
বসে মা মেয়ের কথোপকথন শুনছিলাম। কিছুক্ষন পর
দীপক এসে তিস্তাকে নিয়ে গেল। আবার আমরা
দুজনে একা। “আমি
তোমাকে খুব জ্বালাতন করি না”? রীতার প্রশ্নে আমি চমকে
উঠলাম। আমি কিছু বলার আগেই বলে উঠল “আমি এই রকমই, তোমার ক্ষমা পেতে পারি কি”?
আমি রীতার পাশে এসে বসলাম, বহুদিন পর
চোখে চোখ রেখে বললাম “তুমি যে আমার সব, আমার প্রান। তোমায় ছাড়া
বাঁচার চিন্তা বৃথা। তুমি ভুলেও এই কথা মুখে এনোনা”। তারপর বহুক্ষন একে অপরের চোখে চোখ রেখে কাটিয়ে দিলাম। “আপনি এখন বাইরে যান,
পেশেন্ট কে চেঞ্জ করাতে হবে” নার্স এর
কথায় বাইরে এসে দাঁড়ালাম। রীতার চোখে
আমি বাঁচার লালসা দেখে এসেছি, আর
আমার ভয় নেই।
দীপকঃ
মিলনান্তক
শেষ আমরা সকলেই চাই। ওনারা ফিরে এসেছেন সুখে ঘর সংসার করছেন, এটা বলাই বাহুল্য। আমি আজও
ওদের বাড়িতে যাই। আমার নতুন বন্ধু তিস্তা। ওর সঙ্গেই
আমার বেশী সময় কাটে। বৌদি আজ আবার থিয়েটার নিয়ে মেতেছে। আর এই
মফস্বলে সেই ওঠা আলোড়ন থেমে গেছে। আজ ওরা ‘ধোনীর’ টীম নিয়ে বেশী ব্যাস্ত। আর হ্যাঁ যে কথাটা না বললেই নয়। আমার পশার
এখন আগের থেকেও বেড়ে উঠেছে। এই শহরের
মহিলারা আমার উপর এখন বিশেষ কৃপাদৃষ্টি দিয়েছেন। তাঁরা মাথাব্যাথার নিদান পেতেও আমার ভিজিটটা খরচ করতে দ্বিধা বোধ করেন না। এমনকি আশপাশ থেকে আসা আত্মীয় পরিজন মহিলারাও তুচ্ছ ছুতোয় আমার চেম্বার
দর্শন করছেন।
Download and install Avro Keyboard to
view the contents.
Mail us
to phoenix.punoruday11@gmail.com for pdf version of this
Magazine
Bah besh sundor laglo Prasun lekhata...........
ReplyDeleteEto sonkhepe sarle? Ar ektu bishleshon asha korechhilam.
ReplyDelete