চ্যাটিং
রোহিত
ব্যানার্জী
Rahul : hi… acho ???
Barnali : hmm… ei elam… ki korcho
??
Rahul : ki r korbo.. tomar apekhay
chilam…
Barnali… oh ! tai bujhi ? amar
souvagyo !
………………………………………………
কথা
চলতে থাকলো……একমনে চ্যাটিং
করে যাছেন সুপ্রকাশ সান্যাল
ওরফে রাহুল। হ্যাঁ, এটাই
তাঁর ছদ্মনাম এই সোশ্যাল
নেটওয়ার্কিং সাইটে। প্রায়
দেড়বছর হলো রিটায়্যার করেছেন
চাকরী থেকে, কেন্দ্রীয়
সরকারী কর্মচারী ছিলেন তিনি।
সুনামের সঙ্গে কাজ করেছেন
দীর্ঘ তিরিশটি বছর। সংসারও
তার যথেষ্ট সুখের, দুই
মেয়ে ও এক ছেলে। মেয়েদের
সুপাত্রে বিয়ে দিয়েছেন,
জামাইরা প্রত্যেকেই
সুপ্রতিষ্ঠিত। বড় মেয়ের এক
ছেলে এবং ছোট মেয়ের এক ছেলে
এক মেয়ে। একমাত্র ছেলে হোটেল
ম্যানেজমেন্ট পাশ করে হায়দ্রাবাদে
কাজ পেয়েছে, বছর
দুই আগে ছেলেরও বিয়ে দিয়েছেন,
ছেলে বউমাকে নিয়ে
হায়দ্রাবাদেই থাকে, মাস
ছয় হলো তাদের একটি পুত্রসন্তানও
হয়েছে। ছেলে মেয়েরা বাবার
যথেস্ট খোঁজ-খবর
রাখে, মেয়েরা কাছে
থাকে বলে মাঝেমধ্যেই চলে আসে;
ছেলে-বউমাও
বছরে অন্তত বার দু-এক
আসবেই।
এত
আনন্দের মধ্যে একটাই শূন্যতা,
সুপ্রকাশবাবুর
সহধর্মিনী গত হয়েছেন প্রায়
বছর ছ’য়েক আগে ক্যন্সারে
আক্রান্ত হয়ে। চাকুরী করাকালীন
কাজের ব্যস্ততায়, ছেলেমেয়েদের
ভবিষ্যত চিন্তায় স্ত্রীর
অভাব খুব একটা অনুভব করেননি
বা বলা যায় অনুভব করার সময়
পাননি, কিন্তু
রিটায়্যারমেন্টের পর সমস্ত
শূন্যতা ঘিরে ধরে তাকে, সময়
আর কাটতে চায়না। বাড়িতে তো
মানুষ বলতে তিনি আর সর্বক্ষনের
চাকর লক্ষন। মেয়েরা যাও বা
আসে তাও সপ্তাহে দুদিন। সময়টাই
সুপ্রকাশবাবুর কাছে একমাত্র
সমস্যা।
ছেলে
বছর খানেক আগে বাবার জন্মদিনে
একটি ল্যাপটপ গিফট্ করেছিলো।
কমপিউটার সম্বন্ধে সম্যক
জ্ঞ্যান কোনোকালেই ছিল না
সুপ্রকাশবাবুর। বড় নাতি পুজোর
ছুটিতে দাদুর কাছে বেরাতে
এসে কিছুটা কাজ চালানোর মতো
শিখিয়ে দিয়ে গেছিলো; তবে
এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে
হাতেখড়ি পেয়েছেন তারই সহকর্মী
রমেনের কাছ থেকে। রমেন মানে
রমেন্দ্রনাথ লাহিড়ী চোখ টিপে
বলেছিলেন-“বুঝলে
প্রকাশ, একটা
আকাউন্ট খুলে চ্যাটিং শুরু
করে দাও, সময় কোথা
দিয়ে কেটে যাবে বুঝতেই পারবেনা,
নামটা শুধু গোপন
রেখো ব্যাস।”
অতঃপর
রমেনের পরামর্শেই সুপ্রকাশবাবু
রাহুলের ছদ্মনাম নিয়ে আকাউন্ট
খুলেছেন। অবশ্য শুধু নাম বদলই
নয়, বয়সটাও দিয়েছেন
৬২-এর বদলে ২৬।
সেই শুরু, আজ প্রায়
ছয় মাস হয়ে গেলো সুপ্রকাশবাবু
ওরফে রাহুল প্রায় সারাদিন
অনলাইন থেকে চ্যাটিং করেন
অনেক অজানা অদেখা মানুষের
সাথে, সত্যি সময়টা
এখন হাজার গুণ বেগে কেটে যায়।
সম্প্রতি
একজনের সাথে আলাপ হয়েছে
সুপ্রকাশের, মেয়েটির
নাম বর্নালী, দক্ষিন
কলকাতায় বাড়ি, সদ্য
গ্র্যাজুএশন করেছে। পরিচয়টা
ধীরে ধীরে এতোটাই ঘনিষ্ট হয়ে
উঠেছে যে এখন বেশির ভাগ সময়ে
দুজনেই কথা বলেন, নানা
অনুভূতি ও চিন্তা শেয়ার করেন
পরস্পর। মেয়েটি এর মধ্যে একদিন
বলেওছে যে সুপ্রকাশের সাথে
কথা বলতেই তার বেশি ভালো লাগে।
সুপ্রকাশের মনেও কেমন একটা
অনুভূতি জাগে, বর্নালীর
সাথে কথা বলতে গেলে তিনি যেন
ভুলে যান তার বাস্তব, তার
তখন মনে হয় সত্যি তিনি ২৬-এর
যুবক রাহুল। আজ প্রায় আড়াই
মাস কথা বলছেন তারা, তবুও
যেন মনের কোথাও লেগে আছে নতুনের
অনুভূতি। বর্নালী সাধারণতঃ
সন্ধের পর থাকে অনলাইন,
সুপ্রকাশ সারাদিন
ধরে আপেক্ষা করেন ওই সময়টার
জন্য। কোনো এক অমোঘ আকর্ষন
খেলা করে তার মনের গভীরে।
কথাটা
অনেকদিন ধরেই বলবেন বলে
ভাবছিলেন, অনেক
উচিত অনুচিত চিন্তা ঘুরছিল
মাথায়, শেষে মনস্থির
করে বলেই ফেললেন আজ। দেখা করার
প্রস্তাবটা শুনে বর্নালী
একটু থমকালো, মনে
হয় কিছু চিন্তাও করছিল কারণ
রিপ্লাই আসতে দেরী হচ্ছে একটু।
সুপ্রকাশ দমবন্ধ করে তাকিয়ে
ছিলেন চ্যাট বক্সটির দিকে,
যদি মেয়েটি রাজী না
হয়? যদি ‘না’ বলে
দেয়? অবশেষে
স্ক্রীনে যখন ‘ok’ কথাটি
ফুটে উঠলো, তখন
প্রায় লাফিয়ে উঠেছিলেন চেয়ার
থেকে! একটা চাপা
উচ্ছাস ও উত্তেজনায় তার মনে
তখন বরফ শীতল হাওয়া বইছে।
কোনোমতে
নিজেকে সংযত করে চ্যাটিং-এ
মন দিলেন আবার, সামনের
রবিবার দেখা করবার দিন ঠিক
হোলো, বিকেল ৫টায়
রবীন্দ্রসরোবর পার্কে।
হাতে
আর মাত্র চার দিন বাকী,
সুপ্রকাশের এখন মনে
হচ্ছে কাজটা কি তিনি ঠিক করলেন?
মেয়েটি এসে যখন
দেখবে, তিনি বছর
২৬-এর রাহুল নয়,
৬২ বছরের সুপ্রকাশ
সান্যাল। তখন তার সম্বন্ধে
কি ভাববে? মনে এই
ভাবনাটা আসার সঙ্গে সঙ্গেই
একটা বিপরীত যুক্তিও নিয়ে
এলেন তিনি, আজকালকার
ছেলেমেয়েরা যথেষ্ট প্রশস্তমনস্ক,
বয়স বদলানোর মতো
সামান্য ব্যাপারে আশা করা
যায় কিছু মনে করবেনা, আর
তাছাড়া তিনি তো আর মেয়েটির
সঙ্গে কোনো বিশেষ সম্পর্ক
তৈরী করতে যাচ্ছেন না। শুধুমাত্র
যার সাথে এতো কথা বলেছেন,
তাকে একটিবার চোখের
দেখা। মনের মতো যুক্তি পেয়ে
দুর্ভাবনা গুলোকে দূরে সরিয়ে
রাখলেন সুপ্রকাশ সান্যাল।
আজ
রবিবার, সকাল
থেকেই আর তর সইছে না সুপ্রকাশের,
বিকেলের আশায় ঘর-বার
করছেন। আজকে আর অনলাইন ও হন্নি
সকাল থেকে। কাল রাত্রেই শেষ
কথা হয়েছে বর্নালীর সাথে,
দেখা করার ব্যাপারটা
তখনই ফুল এন ফাইনাল সেরে
রেখেছেন। ঠিক বিকেল পাঁচটায়
বর্নালী অপেক্ষা করবে
রবীন্দ্রসরোবরের গেটের সামনে।
দুপুরে
খাওয়ার পর চিরাচরিত ঘুমটাও
হলো না আজ, চাপা
টেনশানে। ঘড়ির কাঁটা চারটে
ছুঁতে না ছুঁতেই তৈরী হয়ে
বেরিয়ে পরলেন বাড়ি থেকে। দমদম
থেকে মেট্রো ধরে রবীন্দ্রসরোবর,
খুব বেশি হলে আধ
ঘন্টা লাগবে যেতে।
কিন্তু
দূর্ভাগ্য! স্টেশনে
পৌছে দেখেন মেট্রোর লাইনে
গোলযোগ, সারাই
চলছে, গাড়ী কিছু
দেরীতে ছাড়বে। অগত্যা স্টেশনেই
অপেক্ষা। মনে চলছে প্রবল
উত্তেজনার ঝড়, হতচ্ছাড়া
ঘড়িটাও আজ রাজধানী এক্সপ্রেসের
সাথে রেস লাগিয়েছে, বর্নালীকে
যদি বলে দেওয়া যেত যে একটু
দেরী হবে, কিন্তু
তারও উপায় নেই, কারণ
নাম্বারটাই যে নেওয়া হয়নি।
ইশ্! কি যে ভুল
করেছেন। মনে মনে নিজেকে ধমকাতে
লাগলেন সুপ্রকাশ।
প্রায়
এক ঘন্টা পরে ছাড়লো মেট্রো,
প্রবল ভিড়ে গুঁতোগুঁতি
করে দাঁড়ানো গেলো কোনোমতে।
বয়সটা সত্যি যেন এখন কম বলে
মনে হচ্ছে! মনে
মনে কৌতূক বোধ করলেন সুপ্রকাশ।
দেখা করতে যাচ্ছেন তার প্রায়
তিনগুন কম বয়সী একটি মেয়ের
সাথে তাও ভূয়ো নামে। আর কিছুক্ষনের
মধ্যেই উন্মোচন হবে তার আসল
পরিচয়।
কৌতূকের
সাথে একটা অপরাধবোধও জাগলো
মনে, তবে সঙ্গে
সঙ্গেই সেটা মন থেকে ঝেড়ে
ফেললেন।
রবীন্দ্রসরোবরের
গেটের কাছে যখন পৌছোলেন সুপ্রকাশ
তখন ঘড়ির কাঁটা ছয়ের ঘর ছুঁইছুঁই
করছে, গেটের কাছে
কাউকে দেখতে না পেয়ে একটু
ঘাবড়ে গেলেন তিনি। দেরী হচ্ছে
দেখে চলে গেলো নাতো? ইশ্!
ফোন নাম্বারটা যদি...
আবার রাগ ধরে গেলো
নিজের ওপর। কি করা যায় এখন?
আচ্ছা পার্কের ভিতরে
নেইতো? তার দেরী
হচ্ছে দেখে হয়তো ভিতরে গিয়ে
বসেছে, সম্ভবতঃ
সেটাই হবে ধরে নিয়ে ভিতরে
ঢুকলেন সুপ্রকাশ। পার্কের
ভিতরটা বেশ ভিড়, কয়েকজন
অল্পবয়সী ছেলেমেয়েরা হইহুল্লোড়
করছে, একদিকে কিছু
বাচ্ছা খেলাধুলা করছে,
কয়েকজন প্রেমিক
যুগল কেও দেখা গেলো নিভৃতে
বসে প্রেম-চারিতায়
মগ্ন। কিন্তু যার সাথে দেখা
করতে এসেছেন সে কোথায়? তাকে
তো দেখা যাচ্ছেনা? অবশ্য
তাকে দেখতে কেমন তাও তো জানেন
না তিনি। এসব ভাবতে ভাবতেই
হাটুঁতে একটা চিনচিন ব্যাথা
অনুভব করলেন সুপ্রকাশ,
মেট্রোয় অনেকক্ষন
দাঁড়িয়ে এসেছেন, এখানেও
অনেকক্ষন দাড়িয়ে আছেন, তার
ফলেই হয়তো একটু ব্যাথা করছে।
একটু বসে নিলে হতো, কিন্তু
বসবেন কোথায়? বসার
সব জায়গাই যে আগে থেকেই ভর্তি,
এদিক ওদিক তাকিয়ে
একটু কোনের দিকে চন্দ্রমল্লিকা
গাছের তলায় একটি বেঞ্চ দেখতে
পেলেন, একজন বৃদ্ধা
এবং একটি বছর ছয়েকের বাচ্ছা
ছেলে বসে আছে। বাচ্ছাটি ক্রমাগত
বক্বক্ করে যাচ্ছে বৃদ্ধার
সাথে। তাদের পাশে কিছুটা জায়গা
খালি আছে বসার মতো, সেদিকেই
এগিয়ে গেলেন সুপ্রকাশ।
বসে
বসে পার্কের চারপাশের দৃশ্য
দেখতে ভালোই লাগছিলো, বিভিন্ন
বয়সের কত মানুষ এই বিকেলবেলা
পার্কে এসেছেন একটু রিফ্রেশমেন্টের
জন্য। সুপ্রকাশও এক সময় নিয়মিত
বেরোতেন বৈকালিক ভ্রমনে,
কিন্তু এখন এই
ইন্টারনেটের নেশায় পড়ে সেটা
আর হয়ে ওঠেনা। পাশে বসা বাচ্ছাটি
অনেকক্ষন থেকেই বৃদ্ধার
(সম্ভবতঃ তার
ঠাকুমা হবেন) কাছে
বায়না করে যাচ্ছে বাড়ি ফেরার
জন্য, কারণ তার
নাকি টিভিতে কার্টুন দেখার
সময় হয়ে গেছে। সুপ্রকাশের
মনে পড়ে গেল নিজের ছেলেবেলার
কথা। তখন না ছিল টিভি, না
ছিল এই কার্টুন, বিকেলে
মাঠে হইচই করে ফুটবল পেটানো,
তারপর সন্ধে হলে
বাড়িতে ফিরে পড়তে বসে যাওয়া,
এই ছিল তাঁদের রুটিন।
তবে রাত্তিরে খাওয়া-দাওয়ার
পর শুয়ে শুয়ে ঠাকুমার কাছে
গল্প শোনার সময়টা সব থেকে
প্রিয় ছিলো তাঁর।
ছেলেবেলার
স্মৃতিতে অন্যমনস্ক সুপ্রকাশের
খেয়ালই ছিল না, কখন
হালকা সন্ধ্যে নেমে এসেছে
পার্কের ওপর; যখন
খেয়াল হল তখন ঘড়িতে প্রায়
সাতটা বাজতে যায়।
পাশের
বৃদ্ধা এবং তাঁর নাতি উঠে
গেছেন প্রায় মিনিট পনেরো আগে।
যে কাজে এসেছিলেন তা আর হল না।
না হয় কিছুটা দেরীই হয়েছে তার,
তা বলে একটু কি অপেক্ষা
করতে পারতো না বর্নালী?
হতাশ এবং কিছুটা
বিরক্ত সুপ্রকাশ বাড়ি ফিরে
যাওয়াই মনস্থির করলেন, দেখা
করার আর একটা দিন ঠিক করতে হবে
আর এবার অবশ্যই ফোন নাম্বারটা
চেয়ে নিতে হবে, এসব
সাত-পাঁচ ভাবতে
ভাবতেই মেট্রোর দিকে পা বাড়ালেন
সুপ্রকাশ সান্যাল।
বাড়ি
ফিরে লক্ষণকে এক কাপ চা দিতে
বলে শোবার ঘরে চলে এলেন,
এখানেই থাকে তার
কমপিউটার। নেট কানেক্ট করে
প্রথমেই বর্নালীকে একটা ই-মেল
করতে হবে, তার
দেরী হবার কারণ জানানোর সঙ্গে
সঙ্গে কেন একটু অপেক্ষা করলো
না বর্নালী
সেটাও জানতে চাইবেন তিনি,
তার যে কিছুটা রাগ
এবং অভিমান হয়েছে সেটাও বুঝিয়ে
দেবেন ই-মেলে।
চিন্তা করতে করতেই লগ অন্
করলেন অ্যাকাউন্টে।
নিজের
প্রোফাইলে ঢুকেই সবার আগে
যেটা চোখে পড়লো সুপ্রকাশের
সেটা হলো বর্নালীর পাঠানো
একটা ই-মেল,
তার করার আগেই বর্নালী
তাকে ই-মেল পাঠিয়ে
দিয়েছে। সে অনলাইন নেই এখন,
মেল টা করেছে প্রায়
আধ ঘন্টা আগে, পড়তে
শুরু করলেন সুপ্রকাশ।
যথেস্ট
অভিমান নিয়ে মেল টা করেছে
বর্নালী, সঠিক
টাইমেই এসেছিলো সে, কিছুক্ষন
বাইরে অপেক্ষা করার পর ভিতরে
গিয়ে বসেছিলো সে। পার্কের
ভিতরে বামদিকের কোণা করে
জায়গায় যে চন্দ্রমল্লিকা
গাছটি আছে সেখানেই একটি বেঞ্চে
প্রায় সাতটা পর্যন্ত বসে ছিলো
সে। কিন্তু রাহুল আসেনি। যদি
সে নাই আসবে তবে আগে থাকতেই
জানিয়ে দিতে পারতো, এভাবে
তাকে হয়রানি পোহাতে হতোনা।
লেখাগুলি
পড়তে পড়তে সুপ্রকাশের চোখের
সামনে ভেসে উঠছিলো খুব সদ্য
দেখা একটি দৃশ্য, চন্দ্রমল্লিকা
গাছের তলায় এক বৃদ্ধা তার
নাতিকে নিয়ে বসে আছেন কারও
অপেক্ষায়, নাতি
বারবার বাড়ি ফেরার বায়না করলেও
তার মন চাইছেনা উঠতে, মাঝে
মধ্যেই আশেপাশের ভিড়ে খুঁজছিলেন
কাউকে, যাকে
খুঁজছিলেন তাকে দেখতে না পেয়ে
মুখে নেমে আসছে হতাশার ছায়া।
কিছুক্ষন
থম্ মেরে বসে রইলেন সুপ্রকাশ,
লক্ষনের দিয়ে যাওয়া
চা অনেকক্ষন ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে,
মাথার ভিতরে তোলপাড়
করছে চিন্তা, অনেককিছুই
এখন পরিস্কার হয়ে উঠেছে তার
কাছে। ধীরে ধীরে ঠোঁটের কোনে
ফুটে উঠলো একচিলতে হাসি,
বেশ হালকা বোধ্
করছেন এখন তিনি, লক্ষনকে
হাঁক পাড়লেন আর এক কাপ চা দিয়ে
যাওয়ার জন্য। সোজা হয়ে বসে
চ্যাটিং-এ মন
দিলেন, বর্নালী
অনলাইন এসে গিয়েছে।
Download and
install Avro Keyboard to view the contents.
No comments:
Post a Comment